আচ্ছা বলুন তো মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে এক প্লাটুন সৈন্যের পক্ষে কতো মানুষকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা সম্ভব? ভাবছেন হয়তো ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ, আরও বেশি হলে ৬০০ কিংবা ৭০০! তারচেয়ে বেশি হলে হাজার খানেক! না সংখ্যাটা এতো কম নয়। সংখ্যাটা প্রায় ১২ হাজারের মতো! মুক্তিযুদ্ধের ২০ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগরে পাকিস্তানি হানাদারেরা চালিয়েছিল এই পৈশাচিক গণহত্যা। পাকিস্তানি হানাদারদের নৃশংসতা ও অত্যাচারের মুখে প্রাণের ভয়ে খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ফরিদপুর, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনার লাখ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের উদ্দেশ্য তখন খুলনার ডুমুরিয়া হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পৌঁছানো। উদ্দেশ্য একটাই ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া। ভারতীয় সীমান্তে পাড়ি জমাতে হলে ডুমুরিয়া পর্যন্ত ভদ্রা নদী দিয়ে নৌকায় আসা ছিলো অপেক্ষাকৃত অনেকটাই সহজ । কারণ এরপর সাতক্ষীরা হয়ে ভারতীয় সীমান্ত। কারণ এদিকে নদীপথে যাতায়াতের সুবিধা, অনেকটা নিরুত্তাপ। এখানে হানাদার বাহিনীর আনাগোনা নেই বললেই চলে। আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগরের চারপাশ তখন নিচু এলাকা। কেবল চুকনগর বাজ...