সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে ১৮, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার আব্দুল ও’রকম নয় (লাভ জিহাদ)

সন্দেহজনক উপায়ে সনাতনী ছেলে বা মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্মান্তর করা, পরবর্তীতে বিয়ে করাকে লাভ জিহাদ বলে। আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে তাতে আমরা জেনেছি, রীতিমতো বৈদেশিক পয়সা আসে এই জেহাদি কাজের জন্য। সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী অংকন বিশ্বাস এর অকাল মৃত্যুতে এই বিষয়টি প্রবলভাবে সামনে এসেছে। একটি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের মনোজগতের মধ্যে হাজার মাইলের তফাৎ আছে। একটি ছেলে বোধ হবার পরই সে উপলব্ধি করে সে যতটুকু মানুষ তার অধিক সে হিন্দু। উঠতে বসতে ঘরে বাইরে সর্বত্র তার চারপাশের মানুষ তাকে বুঝিয়ে দেয় সে হিন্দু এবং একজন দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ। ওই একই পরিবারের একটি মেয়ের জীবন হয় ঠিক উল্টো। উঠতে বসতে চারপাশের মানুষ তাকে বুঝিয়ে দেয় সে হিন্দু এবং একারণেই সে অধিক আদরণীয়। বাবা মা মেয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেয়। এই বিশেষ নজর রাখা ২ রকমের হয়। অধিক শাসনে রাখা, বাবা-মা এর সাথে মানসিক দুরত্ব সৃষ্টি হয়। আরেক রকম হচ্ছে মেয়ে যা বলে তাতেই সায় দেয়া। মেয়ে উচ্ছন্নে গেলেও আধুনিক হিন্দু বাবা-মা তাতে তাল দেন। অন্যদিকে বাইরের দুনিয়ায় সে একেবারে রাজেন্দ্রাণির মত...

মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের আত্মত্যাগ

কয়েকজন বোধহীন বুদ্ধিমান রাজনৈতিক নেতাদের অবিমৃষ্যতার কারণে ১৯৪৭ সালে ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান হলো। দেশ ভাগ হবার আগ-পর যেসব হিন্দু ব্যক্তিবর্গ পাকিস্তান অংশে ছিলেন তাদের বড় একটা অংশ সহায় সম্পত্তি ফেলে পশ্চিম বাংলায় চলে গেলেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মতো কিছু ব্যক্তি পূর্বপুরুষের ভুমি আঁকড়ে ধরে মাতৃভূমির মানুষদের সাথে নিয়ে বাঁচতে চাইলেন। আবার অন্যদিকে যোগেন মণ্ডলের মতো নেতারা উচ্চবর্ণের হিন্দুর থেকে মুসলিমরা শ্রেয় এই মূঢ় তত্ত্বে বিশ্বাস করে জিন্নাহ’র সাথে গাট বাঁধলেন। আদতে ভারতবর্ষের হিন্দুরা কখনো একতাবদ্ধ ছিলো না- যার কারণে ইরান, তুরান, মোগল, মঙ্গোল, সাত সাগরের পার থেকে বিভিন্ন হানাদাররা এসেছে আর এদেশ শাসন করেছে। ইংরেজরা যখন এদেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনো সনাতনীদের কোনো একক দল গড়ে ওঠেনি, নিজেদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই। সেসময় মুসলিমরা মোটা দাগে সবাই মুসলিমলীগের সাথে থাকলেও হিন্দুদের তেমন কোনো গ্রহনযোগ্য দল ছিলো না। হিন্দুদের কেও বাম, কেও কংগ্রেস ইত্যাদি রাজনৈতিক দলে বিভক্ত ছিলো। ১১ আগষ্ট ১৯৪৭ তারিখে পাকিস্তান এসেম্বলিতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া প্রথম ভাষণে জিন্নাহ বললেন, “Now I think we should keep ...

পহেলা বৈশাখ: আত্মপরিচয়ে একাত্ম হওয়ার দিন

আমেরিকার ওয়াসিংটন ডিসির দূতাবাস পাড়ায় গেলে দেখা যায় বেশিরভাগ দেশের দূতাবাসের সামনে সেই দেশের প্রতিষ্ঠাতা-র ভাস্কর্য। ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে চার্চিলের, দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাসের সামনে নেলসন ম্যান্ডেলার, তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কামাল আতাতুর্ক এর ভাস্কর্য। কিন্তু একটা দেশের দূতাবাসের সামনে হিন্দু দেবী শ্রী সরস্বতীর মূর্তি। এবং দেশটি ভারত নয়, নেপালও নয়। সেটি এমন একটি দেশ যে দেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১ দশমিক ৭ শতাংশ মাত্র। কিন্তু সেদেশের সর্বত্র হিন্দু সংস্কৃতির ছাপ স্পষ্ট। দেশটির পূর্বপুরুষরা ভারতীয় সংস্কৃতি তথা হিন্দু সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক ছিলেন। কালক্রমে সেখানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা বসতি গড়ে তোলেন এবং তাদের সমাজ বিস্তৃতি লাভ করে। এই মুহূর্তে সেদেশে প্রায় ৯০ শতাংশ জনসংখ্যা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব এশিয়ার এই দেশে প্রাচীন হিন্দু ধর্মের প্রভাব সর্বত্র দেখা যায়। এই দেশের মুদ্রার নাম রুপাইয়া। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, এই মুসলিম দেশের নোটে হিন্দুদের দেবতা গণেশ- এর ছবি দেখা যায়। মুসলিম দেশ হলেও হিন্দু ধর্মের অনেক দেবদেবীকেই এই দেশের বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। হিন্দু প...