সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমার আব্দুল ও’রকম নয় (লাভ জিহাদ)

সন্দেহজনক উপায়ে সনাতনী ছেলে বা মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্মান্তর করা, পরবর্তীতে বিয়ে করাকে লাভ জিহাদ বলে। আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে তাতে আমরা জেনেছি, রীতিমতো বৈদেশিক পয়সা আসে এই জেহাদি কাজের জন্য।

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী অংকন বিশ্বাস এর অকাল মৃত্যুতে এই বিষয়টি প্রবলভাবে সামনে এসেছে। একটি মধ্যবিত্ত শিক্ষিত হিন্দু পরিবারে বেড়ে ওঠা একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের মনোজগতের মধ্যে হাজার মাইলের তফাৎ আছে। একটি ছেলে বোধ হবার পরই সে উপলব্ধি করে সে যতটুকু মানুষ তার অধিক সে হিন্দু। উঠতে বসতে ঘরে বাইরে সর্বত্র তার চারপাশের মানুষ তাকে বুঝিয়ে দেয় সে হিন্দু এবং একজন দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ। ওই একই পরিবারের একটি মেয়ের জীবন হয় ঠিক উল্টো। উঠতে বসতে চারপাশের মানুষ তাকে বুঝিয়ে দেয় সে হিন্দু এবং একারণেই সে অধিক আদরণীয়। বাবা মা মেয়ের প্রতি বিশেষ নজর দেয়। এই বিশেষ নজর রাখা ২ রকমের হয়। অধিক শাসনে রাখা, বাবা-মা এর সাথে মানসিক দুরত্ব সৃষ্টি হয়। আরেক রকম হচ্ছে মেয়ে যা বলে তাতেই সায় দেয়া। মেয়ে উচ্ছন্নে গেলেও আধুনিক হিন্দু বাবা-মা তাতে তাল দেন। অন্যদিকে বাইরের দুনিয়ায় সে একেবারে রাজেন্দ্রাণির মতো। হিন্দু ছেলে কি, আর মুসলিম ছেলে কি, - সবাই তার জন্য ফিদা। জীবনের রঙ সেখানে অতি বর্ণিল। যে মেয়ে সেই রঙের ছটা সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করতে পারে না, তার জীবনে নেমে আসে নরক।

অন্যদিকে হিন্দু ছেলেটার বাবা-মা তাকে তার দায়িত্ব এবং পরিবারের আশা সম্পর্কে বারংবার মনে করিয়ে দেয়। অমুকের ছেলে ডাক্তার হইয়াছে, অতএব তোমাকেও বড় ডাক্তার হইতে হইবে। বাইরে মুসলিম মেয়েরা তার দিকে ফিরেও তাকায় না। যদি বা তাকায় – শুনতে হয় তাঁকে মুসলিম হতে হবে, নচেৎ মেয়ের পরিবার মেয়েকে খুন করতে পিছপা হবে না। বন্ধুরা উঠতে বসতে মালাউন বলে খোটা দেয়। গরুর মাংস খাওয়ার দাওয়াত দেয়। মুসলিম হবার দাওয়াত দেয়। টিচারদের মধ্যেও কেও কেও তার হিন্দু হওয়াটা অযোগ্যতা হিসাবে দেখে। শুধুমাত্র হিন্দু হবার অপরাধে পদে পদে হাজার নিগৃহীত হতে হয় এবং সেগুলো নিঃশব্দে হজম করে চলতে হয়।
একটু এদিক ওদিক হতে পারে কিন্তু গড়পড়তা অভিজ্ঞতাগুলো এমনই।

ফিরে আসি অংকন বিশ্বাসের ঘটনায়। সমস্ত দোষ কি আমরা অংকন বিশ্বাসের উপর দিয়ে আমরা কি আমাদের হাত ধুয়ে ফেলছি? আমাদের কি সত্যিই কোনো দায় নেই?? এধরনের ঘটনায় আমাদের কি কোনো কর্তব্য নেই? কম্যুনিটি হিসাবে তার পাশে, তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ নয় কি? অংকনের মতো মেয়েরা যখন দেখে পিছনে কঠোর কঠিন পিতা-মাতা আর সামনে ক্লিন শেভড মোল্লা যে তাকে দাসী বানিয়ে ছেড়েছে; তখন সে কার কাছে যাবে? কে তাকে বাঁচার ভরসা দেবে? যে কথা সে তার পিতা-মাতার সাথে শেয়ার করতে পারে নাই, সে কথা তো কম্যুনিটির সাথে শেয়ার করার একটা জায়গা থাকতে পারতো। ঠিক সেইখানে আমরা কি আমাদের দায় এড়াতে পারি?

আমাদের অভিজ্ঞতা বলে সাধারণত ২ ধরনের ছেলে-মেয়ে এধরণের বিপদ্গামী হয়। এক পরিবার রক্ষণশীল, আচার-নিয়মে খুব কড়া। আরেকটি পরিবার যেখানে উদার, মুক্তমত, স্বাধীনতার নামে আসলে স্বেচ্ছাচারীতার প্রাক্টিস করা হয়। এবং এই ২ ধরনের পরিবারেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইতিহাসের পাঠ দেয়া হয় না। কে বা কারা তার পূর্বপুরুষদের শত্রু এবং কেনো তারা শত্রু সেসব বিষয়ে উত্তর প্রজন্মকে কিছুই জানানো হয় না। প্রকাশ্যে তারা নমস্কার সম্ভাষন জানাতেও যেনো দ্বিধাবোধ করে!!!

একটি শিশুর প্রথম পাঠ শুরু হয় পরিবার থেকে। একটি শিশুর বয়স ৭/৮ হলেই তাকে উপনয়ন প্রদান করুণ। হিন্দু মাত্রেই উপনয়ন নিতে পারে। উপনয়নের মাধ্যমে একটি শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। শিশুকে তার পূর্বপুরুষদের ইতিহাস একটু একটু করে জানান। ভারত বর্ষের ইতিহাস জানান। কি করে হিন্দুদের এই বিশাল রাজত্ব বিদেশী শক্তি কব্জা করলো, কত রক্ত বলিদানের উপর আমাদের সম্প্রদায় দাঁড়িয়ে আছে তা তাকে জানান। সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা দিন। ধর্মীয় বই পড়তে দিন। কোনটা সু-যুক্তি এবং কোনটা কু-যুক্তি সেটা বোঝান। ছেলের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, মেয়েকে অতি আদরে বাদর বানাবেন না। ছেলে-মেয়েকে ২০ বছর বয়সেই বিয়ে দিন কিন্তু সাংসারিক বোঝা তাদের উপর চাপিয়ে না দিয়ে উভয়কেই আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করুন।

যখন বুঝবেন হিন্দুর ছেলে/মেয়ে অন্য ধর্মের কারো সাথে রিলেশনে আবদ্ধ তখন কি করবেন?

আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বলে, যখনই একটা ছেলে মেয়ে এধরণের রিলেশনে জড়ায়; আমরা যখন হিন্দু ছেলে/মেয়েকে এব্যাপারে সাবধান করি; প্রথমেই অতি জঘণ্য আচরণ করা হয় আমাদের প্রতি। এমনকি ছেলে/মেয়ের পরিবারকে জানালেও অনেক পরিবার উল্টো আমাদের হুমকি দেন। একই পরিবার যখন মোল্লাদের ফাটা কলে আটকে যান তখন ত্রাহি মধুসুদন ত্রাহি মধুসুদন ডাক ছাড়েন।

যাই হোক, যদিবা কোনো মেয়ের আমাদের কথা শোনার ধৈর্য্য থাকে, সব কিছু শোনার পর তার মতামত থাকে, “না, না, আমার আব্দুল এরকম নয়। এধরনের কাজ আমার সাথে জীবনেও করবে না। আমি যা বলি ও তাইই শোনে… ইত্যাদি ইত্যাদি”।
আপনি যতই তাকে রিয়েল উদাহরণ দেন সে ঐ “আমার আব্দুল ভালো” এভাবনা থেকে বের হবে না।

ঠিক সেই মুহুর্তে একজন কর্মীর কি করণীয়??

ভালোবাসা তো দুই তরফা একটি ব্যাপার। এতে একজন সব বিসর্জন দেবে কেনো? আব্দুল যদি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসে তাহলে সে কেনো ধর্ম পরিবর্তন করবে না? সে যদি ধর্ম পরিবর্তন না করে তাহলে তুমি কেনো করবে?? সে তোমাকে কেমন ভালোবাসে?? যদি আব্দুল বাড়ির কথা বলে, সমাজের কথা বলে- একই কেস তো বোন তোমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

এবার আব্দুল যদি সনাতন ধর্ম গ্রহণ করতে রাজী না হয় তাহলে কি করবে? তাকে আরেকটা সুযোগ দাও – স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে – বিয়ে করার জন্য বলো। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করতে কারো কোনো ধর্ম পরিবর্তন করা লাগে না। যে যার ধর্ম পালন করবে। সব সন্তানরা সম্পত্তির সমান ভাগ পাবে। Special Marriage Act – এর অধীনে বিয়ে করতে চাইলে কবিতা রায় দিদি’র সাথে যোগাযোগ  করতে পারো। তিনি এই বিবাহের রেজিষ্টার। উনার নম্বরঃ ০১৭৮২৬৬৫৪৫১। স্পেশাল ম্যারেজ এক্টের অধীনে বিয়ে করলে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে অন্ততঃ আইনত সাহায্য পাওয়া সম্ভব হয়।

আমরা চাই না- আমাদের কোনো বোন মুসলিম হয়ে আরেক মুসলিমকে বিবাহ করুক। মুসলিম বিয়ে হলো আইনগতভাবে একজন পুরুষের দাসী হবার নাকে খত পত্র। একইভাবে হিন্দু ভাইদের বলবো- মুসলিম হয়ে বিয়ে করো না, তাতে তোমার আত্মসম্মান বলে কিছু থাকবে না। স্ত্রী আর তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর কথা মতো উঠবস করতে হবে নইলে কোপ খাবে।

এরপরেও যদি তুমি ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করো, সেখানে সংসার করতে গিয়ে দেখো – তুমি বিপদাপন্ন, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার, তোমার পাশে যদি তোমার পিতার পরিবার না দাঁড়ায়- আমাদের সাথে যোগাযোগ করো। অন্ততঃ তোমার জীবন বাঁচানো এবং তোমাকে শেল্টার দেবার সক্ষমতা আমাদের আছে। যদি নিরাপত্তার সমস্যা হয়, যে কোনো ধরনের তথ্য, পরামর্শ লাগে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রেখে গেলাম। আমরা নিজেরা যে যতটুকু পারি সহায়তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

যদি তুমি ব্লাক মেইলিংয়ের শিকার হও, এক সেকেন্ডের জন্য তাকে সুযোগ দেবে না। সোজা তাকে তার ড্রেন দেখিয়ে দেবে। দ্রুত আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারো। আইনী সহায়তা এবং শেল্টার আমরা দেবো। আর ইজ্জত খোয়ানোর ব্যাপারে অভিনেত্রী “সাদিয়া জাহান প্রভা “ র কথা মনে রেখো। তার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবার পর সে কিন্তু মাথা নীচু করে নাই। দোষ যদি হয় সে তো দুজনেরই। তাতে পুরুষটা হাত তালি পাবে আর মেয়েটার ইজ্জত লুটিয়ে যাবে, এধারণা ভুল। প্রভার অতীত নিয়ে এখন কে ঘাটে?? যে ছেলেটা তাকে ব্লাক মেইল করেছিলো সে হারিয়ে গেছে ড্রেনের ধারায়। কিন্তু প্রভা অভিনয় করছে। সে তার ক্যারিয়ার থেকে এক বিন্দু সরে নাই। তার এই মেন্টালিটির কারণে আমি তাকে স্যালুট জানাই। সম্মান যাওয়া এতো ছিচকে বিষয় নয়। মানুষের কথা ২ দিন থাকে; আপনি ক্ষুধায় মরে গেলেও মানুষ এসে আপনার খবর নেয় না, কিন্তু আপনি যদি তিন বেলা ভালো-মন্দ খান, দেখবেন আপনার খবর নেবার লোকের অভাব নেই। তাই মানুষের কথা মুল্য দেবার কিছু নেই। শুধু নিজের কাছে নিজে সৎ থাকুন।

নিজের সন্তানদের আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, মুল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করুন। প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ একবার সন্তানকে নিয়ে মন্দিরে যান। পাশাপাশি হিন্দুদের বিশাল ভারতবর্ষ কারা লুট করেছে, কিভাবে বর্বর আরবীয় ডাকাতরা ভারত শোষণ করেছে, তাদের দ্বারা আমাদের পূর্বপুরুষরা কিভাবে নির্যাতিত হয়েছে, মা বোনেরা কিভাবে অসম্মানিত হয়েছে, তাদের ধর্মে কি বলা হয়েছে, তারা কি করে, তাদের তাকিয়াবাজি সম্পর্কে নিজে জানুন এবং উত্তর প্রজন্মকে জানান। মনে রাখবেন, বন্ধু চেনার চেয়ে শত্রু চিনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

বোনেরা অন্য ধর্মে মেয়েদের কি মর্যাদা দেয়া হয়েছে সেগুলো আমরা একটু দেখি

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (3512)
অধ্যায়ঃ ১৮/ দুধপান
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৯. মহিলাদের সম্পর্কে ওসিয়ত
৩৫১২। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবন নুমায়র আল-হামদানী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া উপভোগের উপকরণ (ভোগ্যপণ্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (3513)
অধ্যায়ঃ ১৮/ দুধপান
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৯. মহিলাদের সম্পর্কে ওসিয়ত
৩৫১৩। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নারী পাজরের হাড়ের ন্যায় (বাঁকা)। যখন তুমি তাকে সোজা করতে যাবে তখন তা ভেঙ্গে ফেলবে আর তার মাঝে বক্রতা রেখে দিয়েই তা দিয়ে তুমি উপকার হাসিল করবে।
যুহায়র ইবনু হারব ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) … (যুহরীর ভ্রাতুষ্পুত্র তার চাচা যুহরীর সুত্রে) (উপরোক্ত সনদের ন্যায়) ইবনু শিহাব (রহঃ) সুত্রে অবিকল অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

কোরআনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, নারী হচ্ছে শস্য ক্ষেত্র স্বরূপ, তাকে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করা যাবে। এরকম সরাসরি নারীকে সেক্সুয়াল অবজেক্টিফিকেশন সামাজিকভাবে নারীকে একটি ভোগ্যপণ্য এবং যৌনযন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য খুবই কার্যকর।

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।
সুরা আল বাকারা আয়াত ২২৩

পুরুষ নারীর থেকে সর্বদাই শ্রেষ্ঠ। শিক্ষায়, মেধায়, জ্ঞানে নারী যত কিছুই করুক না কেন, পুরষই শ্রেষ্ঠ। প্রাইমারী স্কুল ফেল পুরুষও পিএইচডি করা নারীর চাইতে শ্রেষ্ঠ, এটা কোরআনের ঘোষণা।

আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে
সুরা আল বাকারা আয়াত ২২৮

আইন আদালতে নারীর সাক্ষ্য পুরুষের সাক্ষ্যর অর্ধেক। দুইজন নারী=একজন পুরুষ। তা সে যত নির্বোধ পুরুষই হোক না কেন। একমাত্র পুরুষ হওয়াটাই তার দুইজন নারীর সমকক্ষ হবার যোগ্যতা 

দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা।
সুরা আল বাকারা আয়াত ২৮২

নারীদের গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করতে হবে
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।
সুরা আহজাব আয়াত ৩৩

মুহাম্মদ বলেছেন, অমঙ্গল তিন বস্তুর মধ্যে স্ত্রীলোক, গৃহ ও পশুতে।

পরিচ্ছদঃ ৭৬/৪৩. পশু-পাখি তাড়িয়ে শুভ-অশুভ নির্ণয়।
৫৭৫৩. ইবনু ‘উমার হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ছোঁয়াচে ও শুভ-অশুভ বলতে কিছু নেই। অমঙ্গল তিন বস্তুর মধ্যে স্ত্রীলোক, গৃহ ও পশুতে।(1) (২০৯৯; মুসলিম ৩৯/৩৪, হাঃ ২২২৫, আহমাদ ৪৫৪৪) আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৯)
(1) কোন কোন স্ত্রীলোক স্বামীর অবাধ্য হয়। আবার কেউ হয় সন্তানহীনা। কোন গৃহে দুষ্ট জ্বিনের উপদ্রব দেখা যা, আবার কোন গৃহ প্রতিবেশীর অত্যাচারের কারণে অশান্তিময় হয়ে উঠে। গৃহে সলাত আদায় ও যিকর-আযকারের মাধ্যমে জ্বিনের অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কোন কোন পশু অবাধ্য বেয়াড়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (5613) অধ্যায়ঃ ৪০/ সালাম
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩৩. কুলক্ষণ, সুলক্ষণ, ফাল ও সম্ভাব্য অপয়া বিষয়বস্তুর বিবরণ
৫৬১৩। আহমদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হাকাম (রহঃ) … ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ কোন কিছুতে অশুভ কিছু যদি থাকে, তবে তা হবে ঘোড়া, বাড়ি ও নারীতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মুহাম্মদ বলেছেন, আমি আমার পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে অধিক বিপর্যয়কর আর কিছু রেখে যাবো না।

গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
হাদিস নম্বরঃ (3998) অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয়
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩০/১৯. নারীদের সৃষ্ট বিপর্যয়
১/৩৯৯৮। উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আমার পরে পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে অধিক বিপর্যয়কর আর কিছু রেখে যাবো না।
সহীহুল বুখারী ৫০৯৬, মুসলিম ২৮৪০, ২৮৪১, তিরমিযী ২৮৮০, আহমাদ ২১২৩৯, ২১৩২২, সহীহাহ ২৭০১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মুহাম্মদ বলেছেন, স্ত্রীলোক, গাধা ও কালো কুকুর অতিক্রম করলে সালাত (এর-একাগ্রতা) নষ্ট হয়ে যাবে।

গ্রন্থের নামঃ বুলুগুল মারাম
হাদিস নম্বরঃ (231) অধ্যায়ঃ পর্ব – ২ঃ সালাত
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৪. সালাত আদায়কারী ব্যক্তির সুতরা বা আড় – সালাত বিনষ্টকারী বিষয়সমূহের বর্ণনা
২৩১. আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত আদায় করার সময় যদি উটের পালানের শেষাংশের কাঠির পরিমাণ একটা সুতরাহ দেয়া না হয় আর উক্ত মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে (প্রাপ্ত বয়স্কা) স্ত্রীলোক, গাধা ও কালো কুকুর অতিক্রম করলে সালাত (এর-একাগ্রতা) নষ্ট হয়ে যাবে। এটা একটা দীর্ঘ হাদীসের খণ্ডাংশ’। তাতে একস্থানে আছেঃ কাল কুকুর হচ্ছে শয়তান।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
হাদিস নম্বরঃ (952) অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৫/৩৮. যা সলাত নষ্ট করে।
৬/৯৫২। আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম বলেন: সালাতীর সামনে শিবিকার খুঁটির ন্যায় কোন জিনিস না থাকলে নারী, গাধা ও কালো বর্ণের কুকুর তার সালাত নষ্ট করে। অধস্তন রাবী বলেন, আমি বললাম, লাল বর্ণের কুকুর থেকে কালো বর্ণের কুকুরের পার্থক্য কি? তিনি বলেন, তুমি আমাকে যেরূপ জিজ্ঞেস করলে আমিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তদ্রূপ জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেনঃ কালো কুকুর হল শয়তান।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: মুসলিম ৫১০, তিরমিযী ৩৩৮, নাসায়ী ৭৫০, আবূ দাঊদ ৭০২, আহমাদ ২০৮১৬, ২০৮৩৫, ২০৮৭০, ২০৯১৪, ২০৯২০; দারিমী ১৪১৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬৯৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (751) অধ্যায়ঃ ৯/ কিবলা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৭/ নামাযের সামনে সুতরাহ না থাকলে, যাতে নামায নষ্ট হয় আর যাতে নষ্ট হয় না। 
৭৫১। আমর ইবনু আলী (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করার জন্য দাঁড়ায়, তখন সে নিজেকে আড়াল করে নেবে যদি তার সামনে হাওদার হেলান কাঠের মত কিছু থাকে। যদি তার সামনে হাওদার হেলান কাঠের মত কিছু না থাকে, তাহলে তার সালাত নষ্ট করবে নারী- গাধা এবং কাল কুকুর। আমি বললাম, লাল ও হলুদে কুকুরের তুলনায় কালো কুকুরের অবস্থা কি?। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করেছিলাম, যেমন তুমি আমাকে প্রশ্ন করেছ। তখন তিনি বললেনঃ কালো কুকুর শয়তান।
সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৯৫২, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১০২৯
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

কোরআন হাদিস এবং প্রায় সকল ইসলামিক রেফারেন্সে কোন রাখঢাক না রেখেই পরিষ্কারভাবে নারীদের স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করার শিক্ষা দেয়া হয়। বিষয়টি শুধু আপত্তিকরই নয়, নারীর জন্য অবমাননাকরও বটে।

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (145) অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৩৪. ইবাদতের ত্রুটিতে ঈমান হ্রাস পাওয়া এবং কুফর শব্দটি আল্লাহর সাথে কুফুরী ছাড়া নিয়ামত ও হুকুম অস্বীকার করার বেলায়ও প্রযোজ্য
১৪৫। মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ ইবনু মুহাজির আল মিসরি (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ হে রমনীগন! তোমরা দান-খয়রাত করতে থাক এবং বেশি করে ইস্তিগফার কর। কেননা আমি দেখেছি যে, জাহান্নামের অধিবাসীদের অধিকাংশই নারী। জনৈকা বুদ্ধিমতী মহিলা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল! জাহান্নামে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণ কি? বললেন, তোমরা বেশি বেশি অভিসম্পাত করে থাকো এবং স্বামীর প্রতি (অকৃতজ্ঞতা) প্রকাশ করে থাকো। আর দ্বীন ও জ্ঞান-বুদ্ধিতে ক্রটিপূর্ণ কোন সম্প্রদায়, জ্ঞানীদের উপর তোমাদের চেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী আর কাউকে আমি দেখিনি।
প্রশ্নকারিনী জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! জ্ঞান-বুদ্ধি ও দ্বীনে আমাদের কমতি কিসে? তিনি বললেনঃ তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধির ক্রটি হলো দু-জন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান; এটাই তোমাদের বুদ্ধির ক্রটির প্রমাণ। স্ত্রীলোক (প্রতিমাসে) কয়েকদিন সালাত (নামায/নামাজ) থেকে বিরত থাকে আর রমযান মাসে রোযা ভঙ্গ করে; (ঋতুমতী হওয়ার কারণে) এটাই দ্বীনের ক্রটি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

নবী মুহাম্মদ বলেছেন, নারীরা হচ্ছে অধিক জাহান্নামী

গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (28) অধ্যায়ঃ ২/ ঈমান
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ২১/ স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা 
২৮। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের অধিকাংশই স্ত্রীলোক; (কারন) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞাসা করা হল, ‘তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে?’ তিনি বললেনঃ ‘তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং ইহসান অস্বীকার করে। ’ তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাক, এরপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, ‘আমি কখনো তোমার কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাইনি। ’
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মেয়েদের স্বেচ্ছায় বিয়ের অধিকার নেই
ইসলামের বিধান অনুসারে, একজন স্বাধীন মা তার মেয়েকে বিয়ে দিতে পারবে না। একইসাথে, একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী অভিভাবক পুরুষ ছাড়া নিজ ইচ্ছাতে বিয়েও করতে পারবে না। কেউ যদি নিজেই বিয়ে ঠিক করে বিবাহ করে, তাকে ব্যভিচারিণী হিসেবে গণ্য করতে হবে।

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩ঃ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ – বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে
৩১৩৭-(১২) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো নারী যেন অপর নারীর বিবাহ সম্পাদন না করে এবং সে নিজেকেও স্বয়ং বিয়ে দিতে পারে না। আর ব্যভিচারিণীই তো সেই, যে নিজেকে বিয়ে দেয়। (ইবনু মাজাহ)(1)
(1) সহীহ : ইবনু মাজাহ ১৮৮২, দারাকুত্বনী ৩৫৩৯, ইরওয়া ১৮৪১, সহীহ আল জামি‘ ৭২৯৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)

স্বামীর যৌন চাহিদা মেটাতে অস্বীকার করা যাবে না
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ (3433) অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ২০. স্বামীর বিছানা পরিহার করা স্ত্রীর জন্য নিষিদ্ধ
৩৪৩৩-(১২২/…) আবূ বাকর ইবনু শায়বাহ, আবূ কুরায়ব, আবূ সাঈদ আল আশাজ্জ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহিমাহুমুল্লাহ) ….. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বামী যখন স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে এবং সে না আসায় তার স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাত্রি যাপন করে, সে স্ত্রীর প্রতি ফেরেশতাগণ ভোর হওয়া পর্যন্ত লা’নাত করতে থাকে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪০৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৪০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)



ফেসবুক বা ইউটিউবে লাভ জিহাদ/ Love Jihad লিখে সার্চ দিলেই হাজার হাজার ঘটনা দেখতে পাবেন, যেখানে ধর্মান্তরিত হয়ে শান্তির ধর্মে যাবার পর ছেলে-মেয়েদের করুণ পরিণতি।

নীচে কিছু ঘটনার লিংক দিচ্ছি


ক্লাসিক এক্সামপল অফ লাভ জিহাদ
ব্লাক মেইল করে লাভ জিহাদের শিকার ডাক্তার ! 
বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও 


নীলা
Nila Roy, a 15-year-old Class X student of a school in Savar, died from her injuries in a hospital two hours after Mizanur Rahman, 20, had allegedly hacked her.

এখানে লাভ জিহাদ রিলেটেড অনেকগুলো ভিডিও পাবেন


দিনাজপুর। লাভ জিহাদ ও ধর্মান্তর এবং তার বাস্তব অসহায় পরিনতি
খ্রিষ্টান থেকে মুসলিম হবার পরেও বাচ্চাসহ মহিলার পরিণতি

লাভ জিহাদের পরিনতি ফেসবুক লাইভে এসে ফাঁস করলেন শিল্পি মুন....

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের আরেক হিন্দু মেয়ে লাভ জিহাদের শিকার।
মৃত হিন্দু তরুণী গোপা পান্ডা,বয়ফ্রেন্ড মুসলিম যুবক এর সাথে রিলেশন করে বিয়ে করেন। 

বাংলাদেশে একজন হিন্দু ধর্মের যুবক যদি একজন মুসলিম যুবতীকে বিয়ে করেন তবে কি হয় দেখুন।



১৪মে ২০২২

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যুক্তিফাঁদে ফড়িং - চমক হাসান

ডিসক্লেইমারঃ চমক হাসানের লেখা অসাধারণ একটা বই এটি। খুব সহজভাবে যুক্তি, ভ্রান্তি নিয়ে লেখা যা প্রতিটি হিন্দু তথা সকল মুক্তবুদ্ধির মানুষের জন্য অবশ্যপাঠ্য। এখানে এই বইটি উম্মুক্ত করা হয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে।  চারিদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হুংকার দেখা যাচ্ছে। তারা তাদের বিষাক্ত নখ, দাঁত দিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত ক্ষত বিক্ষত করছে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তি যেসব অস্ত্র দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তার একটি বড় অস্ত্র হলো এই ভ্রান্তি'র ব্যবহার। ইংরেজিতে যাকে ফ্যালাসি বলে। এটা পড়লে মোটা দাগে কোনটা সুযুক্তি আর কোনটা কুযুক্তি সেটা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।  [চমক হাসান ভাই যদি কোনোদিন এই সাইট দেখেন, আপনার ঔদার্যের গুণে ক্ষমা করবেন।] গল্প শুরুর আগে ভ্রান্তি চারিদিকে আন্তনগর মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতরে বসে আছে হাসিব, গন্তব্য 'খোকসা'। ঢাকা থেকে বাসে করে আসা যেত, তাতে সময় অনেক কম লাগত। তবু সে ট্রেনেই আসবে ঠিক করেছিল। ট্রেনে চড়লে নাকি একটা আয়েশি ভাব আসে ওর, ট্রেনের ছন্দ আর দুলুনিতে মনটা খুশি খুশি লাগে। তা ছাড়া স্টেশনে স্টেশনে মানুষের ওঠানামা দেখতে ভালো লাগে। আর...

মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের আত্মত্যাগ

কয়েকজন বোধহীন বুদ্ধিমান রাজনৈতিক নেতাদের অবিমৃষ্যতার কারণে ১৯৪৭ সালে ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তান হলো। দেশ ভাগ হবার আগ-পর যেসব হিন্দু ব্যক্তিবর্গ পাকিস্তান অংশে ছিলেন তাদের বড় একটা অংশ সহায় সম্পত্তি ফেলে পশ্চিম বাংলায় চলে গেলেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মতো কিছু ব্যক্তি পূর্বপুরুষের ভুমি আঁকড়ে ধরে মাতৃভূমির মানুষদের সাথে নিয়ে বাঁচতে চাইলেন। আবার অন্যদিকে যোগেন মণ্ডলের মতো নেতারা উচ্চবর্ণের হিন্দুর থেকে মুসলিমরা শ্রেয় এই মূঢ় তত্ত্বে বিশ্বাস করে জিন্নাহ’র সাথে গাট বাঁধলেন। আদতে ভারতবর্ষের হিন্দুরা কখনো একতাবদ্ধ ছিলো না- যার কারণে ইরান, তুরান, মোগল, মঙ্গোল, সাত সাগরের পার থেকে বিভিন্ন হানাদাররা এসেছে আর এদেশ শাসন করেছে। ইংরেজরা যখন এদেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনো সনাতনীদের কোনো একক দল গড়ে ওঠেনি, নিজেদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই। সেসময় মুসলিমরা মোটা দাগে সবাই মুসলিমলীগের সাথে থাকলেও হিন্দুদের তেমন কোনো গ্রহনযোগ্য দল ছিলো না। হিন্দুদের কেও বাম, কেও কংগ্রেস ইত্যাদি রাজনৈতিক দলে বিভক্ত ছিলো। ১১ আগষ্ট ১৯৪৭ তারিখে পাকিস্তান এসেম্বলিতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া প্রথম ভাষণে জিন্নাহ বললেন, “Now I think we should keep ...

দিব্যজ্ঞান নয় কাণ্ডজ্ঞান চাই, শিবপ্রসাদ রায়

দিব্যজ্ঞান নয় কাণ্ডজ্ঞান চাই, শিবপ্রসাদ রায় ছোটোবেলায় একটা বই পড়েছিলাম, নাম “বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না।” বড় হয়েও এদেশের বহু ঘটনার বুদ্ধি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারছি না। মনে হচ্ছে গোটা দেশের ভাবনা-চিন্তাগুলো যেন একটা অবাস্তব ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। অবিলম্বে যদি আমরা বাস্তবের মাটিতে পা না রাখতে পারি, আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে চরম সর্বনাশ। এদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং মনুষ্যত্বের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী করা হয় ভারত বিভাগকে। এই ভারত বিভাগ ছিল এদেশের তাবৎ হিন্দু নেতৃবৃন্দের নির্বুদ্ধিতার পরিণতি। শতকরা সাতানব্বই জন মুসলমানের দাবী ছিল : হিন্দু মুসলমান দুটো পৃথক জাতি। হিন্দুর সঙ্গে পাশাপাশি বাস করে মুসলমানদের ধর্ম সংস্কৃতি অক্ষুণ্ণ রাখা অসম্ভব। অতএব আমাদের একটা হোমল্যান্ড চাই, যার নাম পাকিস্তান। মুসলমান সমাজের পুরোটাই যখন ভারতবর্ষকে দুখণ্ড করতে ব্যস্ত, তখন হিন্দু নেতারা কি করছিলেন? জনগণকে বোঝাচ্ছিলেন, হিন্দু মুসলমান পৃথক জাতি নয়। এক জাতি, ভারতীয় জাতি। মুসলীম লীগ এবং মহম্মদ আলি জিন্নার দ্বিজাতিতত্ত্ব এবং পাকিস্তানের দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মহাত্মা গান্ধী বললেন : ভারত দ্বিখণ্ডিত হলে তা আমা...

বর্তমান হিন্দু-মুসলমান সমস্যা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

১৯২৬ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একটি ভাষন দেন যার নাম “বর্তমান হিন্দু মুসলমান সমস্যা”। এটি বাঙলা প্রাদেশিক সম্মেলনে প্রদান করেন। পরে তা হিন্দু সংঘ পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯ শে আশ্বিন ১৯৩৩ সালে। পাঠকদের বলবো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং ভাবুন।  ------- কোন একটা কথা বহু লোকে মিলিয়া বহু আস্ফালন করিয়া বলিতে থাকিলেই কেবল বলার জোরেই তাহা সত্য হইয়া উঠে না। অথচ এই সম্মিলিত প্রবল কণ্ঠস্বরের একটা শক্তি আছে এবং মোহও কম নাই। চারিদিক গমগম করিতে থাকে—এবং এই বাষ্পাচ্ছন্ন আকাশের নীচে দুই কানের মধ্যে নিরন্তর যাহা প্রবেশ করে, মানুষ অভিভূতের মত তাহাকেই সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিয়া বসে। Propaganda বস্তুতঃ এই-ই। বিগত মহাযুদ্ধের দিনে পরস্পরের গলা কাটিয়া বেড়ানই যে মানুষের একমাত্র ধর্ম ও কর্তব্য, এই অসত্যকে সত্য বলিয়া যে দুই পক্ষের লোকেই মানিয়া লইয়াছিল, সে ত কেবল অনেক কলম এবং অনেক গলার সমবেত চীৎকারের ফলেই। যে দুই-একজন প্রতিবাদ করিতে গিয়াছিল, আসল কথা বলিবার চেষ্টা করিয়াছিল, তাহাদের লাঞ্ছনা ও নির্যাতনের অবধি ছিল না। কিন্তু আজ আর সেদিন নাই। আজ অপরিসীম বেদনা ও দুঃখ ভোগের ভিতর দিয়া মানুষের চৈতন্য হইয়াছে যে, সত্য বস্তু সেদিন...

রক্তাক্ত শারদ’ ২০২১

রক্তাক্ত শারদ’ ২০২১ (১) ২০১৬ সালে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া পবিত্র কাবা শরীফের উপর মহাদেবের ছবি বসানোর অজুহাতে রসরাজের বাড়ী সহ সেখানে বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়ী তছনছ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রকৃত ধর্ম অবমাননাকারী ধরা পড়ার পর দেখা গেলো সে লোক একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। প্রকৃত ধর্ম অবমাননাকারী ধরা পড়ার পর ঐ মুসলিম দুস্কৃতিকারী মানুষটার উপর আগ্রাসী ঐ মানুষ গুলোর কোন প্রতিক্রিয়া কিন্তু লক্ষ্য করা যায়নি। (২) ১৫ মার্চ ২০১৭ বাংলাদেশের দাউদকান্দির হিন্দু পাড়া সংলগ্ন এক মাদ্রাসায় রাতের অন্ধকারে প্রায় ১৬টি কোরান হাদিসের উপর মল ত্যাগ করা হয়েছে – এই খবর যখন চাউর করে সন্দেহের তীর পাশের হিন্দু বাড়ী গুলোর দিকে দেয়া হয়েছিলো, পরে যখন হাবিবুর রহমান ও তার দুই মুসলিম বন্ধু পুলিশি অভিযানে ধৃত হয় ও স্বীকারোক্তি দিয়ে এধরনের জঘন্য কাজের দায় নিজে নেয়ার পরও কোন মুসলিম ধার্মিক গোষ্ঠী হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ্যাকশনতো দূরের কথা বিচারের জন্য কোন দাবীও করে নাই। (৩) পুরান ঢাকায়, মুসলিম ছেলেরা হিন্দু সেজে মুসলিম হিজাবী মেয়ের গায়ে মুখে আবির দেয়, শ্লীলতাহানি করে –এই কর্ম করে ধরা পড়া মুসলিম ও যুবকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্...

‘মেরুদণ্ডহীন’ হিন্দু সম্প্রদায় ও ‘সাম্প্রদায়িক’ বাংলাদেশ - চিররঞ্জন সরকার

তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ফোনে যখন আলাপ হচ্ছিল, তখন ঝাঁজালো কণ্ঠে বললেন, “কী-যে সব প্যানপ্যানানি লেখা লেখেন। এসব বাদ দ্যান। পারলে শক্ত করে লেখেন। না হলে লেখালেখি বাদ দেন। আর লিখেই-বা কী লাভ? রাস্তায় নামতে পারেন না? অস্তিত্ব হুমকির মুখে, আর আপনারা চুপচাপ বসে আছেন। আপনাদের পরিণতিও একসময় রোহিঙ্গাদের মতো হবে।” উনি এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলেন। আমি শুনলাম। এই কথাগুলো যে আমি বুঝি না বা দেশের হিন্দুরা বোঝে না, তা তো নয়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কী-ই-বা বলার বা করার আছে? এদেশে হিন্দুদের যা পরিস্থিতি– যেভাবে অপমান-নির্যাতন-হামলা চালানো হচ্ছে– রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে আচরণ করছে– তাতে হিন্দুদের মার খাওয়া ছাড়া, মেনে নেওয়া ছাড়া, বিলাপ ও চোখের জল ফেলা ছাড়া, দগ্ধ হওয়া ছাড়া, ‘গোপনে দেশত্যাগ’ ছাড়া আর কী-ই-বা করার আছে? হ্যাঁ, হিন্দুরা যা করতে পারে, যা করতে পারত, যা করা উচিত ছিল তা হল, ‘প্রতিরোধ’ গড়ে তোলা। কিন্তু এদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা, আমাদের পূর্বপ্রজন্মের নেতারা (হিন্দু-নেতারা, ‘হিন্দু-নেতা’ শব্দটি ব্যবহার করতে বিবেকে বাধছে, কিন্তু উপায় কী) সঠিক সময়ে সঠ...

১৯ আগষ্ট ২০২২ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র বক্তব্য

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৯ আগষ্ট জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অনেক আশা নিয়ে ছিলাম তিনি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং সংখ্যালঘু কমিশন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন। এটি ছিলো আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ওয়াদা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা দেখলাম তিনি এব্যাপারে কোনো ঘোষণা দিলেন না। বক্তব্যের শুরুতে তিনি ১৫ আগষ্টের কালো রাতে যারা মৃত্যুবরণ করেন তাদের কথা স্মরণ করেন। ১৫ই আগষ্ট কালো রাতে খুনীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে খুন করে নাই, পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে খুন করেছিলো পাকি প্রেত্মারা। শুধু তাই নয় যেসব ব্যক্তি এবং পরিবার এই নৃশংস ঘটনার বিপরীতে গর্জে উঠতে পারে তাদেরকেও স্বপরিবারে খুন করেছিল। এরপর আমরা দেখেছি ৪ নেতাকে খুন করেছিলো শয়তানরা। আমি বিশেষভাবে কর্ণেল জামিলকে স্মরণ করতে চাই- যিনি একমাত্র ব্যক্তি কারো অপেক্ষায় না থেকে একাকী ছুটে গিয়েছিলেন ধানমন্ডিতে। এবং তিনিও সেই নৃশংস ভাগ্য বরণ করেছিলেন। এই ঘটনাগুলো আমরা জানি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত বছর পরেও সে ঘটনা স্মরণ করে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এহেন ঘটনায় তিনি যদি ব্যথিত হন, তিনিই তো সর্বোচ্চ বোঝার কথা হিন্দুদের বাড়ি...