(১) ২০১৬ সালে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া পবিত্র কাবা শরীফের উপর মহাদেবের ছবি বসানোর অজুহাতে রসরাজের বাড়ী সহ সেখানে বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়ী তছনছ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রকৃত ধর্ম অবমাননাকারী ধরা পড়ার পর দেখা গেলো সে লোক একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। প্রকৃত ধর্ম অবমাননাকারী ধরা পড়ার পর ঐ মুসলিম দুস্কৃতিকারী মানুষটার উপর আগ্রাসী ঐ মানুষ গুলোর কোন প্রতিক্রিয়া কিন্তু লক্ষ্য করা যায়নি।
(২) ১৫ মার্চ ২০১৭ বাংলাদেশের দাউদকান্দির হিন্দু পাড়া সংলগ্ন এক মাদ্রাসায় রাতের অন্ধকারে প্রায় ১৬টি কোরান হাদিসের উপর মল ত্যাগ করা হয়েছে – এই খবর যখন চাউর করে সন্দেহের তীর পাশের হিন্দু বাড়ী গুলোর দিকে দেয়া হয়েছিলো, পরে যখন হাবিবুর রহমান ও তার দুই মুসলিম বন্ধু পুলিশি অভিযানে ধৃত হয় ও স্বীকারোক্তি দিয়ে এধরনের জঘন্য কাজের দায় নিজে নেয়ার পরও কোন মুসলিম ধার্মিক গোষ্ঠী হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ্যাকশনতো দূরের কথা বিচারের জন্য কোন দাবীও করে নাই।
(৩) পুরান ঢাকায়, মুসলিম ছেলেরা হিন্দু সেজে মুসলিম হিজাবী মেয়ের গায়ে মুখে আবির দেয়, শ্লীলতাহানি করে –এই কর্ম করে ধরা পড়া মুসলিম ও যুবকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্হার দাবী কেও করে নাই। উদ্দেশ্য ছিল – হিন্দুদের পবিত্র ও নির্মল আনন্দ দোল উৎসব বন্ধ করা। একই সাথে হিন্দুরা হেজাবী মুসলিম নারীদের শ্লীলতা হানি করেছে – অজুহাতে শাখারী বাজার এলাকা হিন্দুদের আক্রমন করা। ব্যাপারটা যে পরিকল্পিত এবং পুলিশ যথাসময়ে কয়েকজন মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করলে এধরনের জঘন্য ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
(৪) ৫ মে, ২০১৩ বায়তুল মোকারমে হেফাজত যখন শত শত কোরান পুড়িয়েছিল তখন কি কেউ ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলেছিল?
(৫) ১২ মার্চ ২০১৮ তারিখে কক্সবাজারে একজন কোরানের ভিতরে পৃষ্ঠা কেটে সেখানে ইয়াবা ঢুকিয়ে পাচার করছিলো তখন কারও মনে হয়েছিল সেটা ধর্ম অবমাননা?
মনে হয়নি কারণ কোরআন অবমাননা পুরো বিষয়টিই সাম্প্রদায়িক টার্ম ও রাজনৈতিক টার্ম।
উপস্থিত কারো কাছে কি মনে হয় কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষ ওই মন্ডপে কোরআন শরীফ রাখতে গেছে? কারো কাছে কি মনে হয় কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা পুজা মন্ডপে, মন্দিরে হামলা করেছে? কোনো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কি সাধুদের খুন করেছে? ধর্ষন করেছে? যারা হিন্দুদের দোকান-বাড়ি-মন্দির-বসতি লুট করেছে, আগুন লাগিয়েছে তাদের মধ্যে কেও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি আছে?
তাহলে এগুলো কারা করেছে?? এধরনের প্রত্যেকটি ঘটনায় আমরা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার হতে দেখেছি। তাদের লেবাস যাই হোক না কেনো – তাদের লক্ষ্য রাজনৈতিক। তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া, তাদের লক্ষ্য হিন্দুদের সম্পদ কুক্ষিগত করা- এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এদের কাছে হিন্দুরা খারাপ কিন্তু তাদের সহায়-সম্পদ লুট করা হালাল। এরা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে চলেছে বছরের পর বছর।
বাংলাদেশে হিন্দু হওয়া কি অপরাধ?
আমি বলবো- হ্যাঁ, অপরাধ।
কেমন অপরাধ?
আমিরিকায় রেড ইন্ডিয়ান হওয়া যেমন অপরাধ, অষ্ট্রেলিয়ায় আদি অষ্ট্রেলিয়ান (Aboriginal) হওয়া যেমন অপরাধ, দখলদারদের সামনে অসহায় নির্যাতিত ভূমিপুত্র হওয়া যেমন অপরাধ - তেমন অপরাধ।
শ্রদ্ধেয় অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতের গবেষণামূলক তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ১০৫২২ বর্গ কিলোমিটার জমি শত্রু সম্পত্তি হিসাবে (পোগতিশীলদের সংশোধনীতে অর্পিত সম্পত্তি) দখল হয়ে গেছে। জমির এই আয়তন ইজরাইল নামক রাষ্ট্রের অর্ধেক! মানে ইজরাইল ফিলিস্তিনিদের যে পরিমাণ জমি দখল করেছে বাংলাদেশ তার অর্ধেক দখল করে নিয়েছে কিন্তু টু শব্দটি হয়নি। কারণ বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ !!!!
সাম্প্রদায়িক বিষবাস্পে ভরা এই দেশে মুষ্টিমেয় শয়তান - সাম্প্রদায়িকতাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দুদের দেশ ছাড়া করছে, তাদের সম্পদ লুট করছে, তাদের মেয়েদের উপর নির্যাতন করছে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধেয় রানা দাশগুপ্ত বলেন, “১৯৭২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যতগুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে, সেগুলোর কোনো বিচার হয়নি। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭২-এর অক্টোবরে এই শারদীয়া দুর্গাপূজাতেই চট্টগ্রাম নগরীতেই অন্তত ১৫টি পুজামণ্ডপে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদুত মনোরঞ্জন ধরের ময়মনসিংহের বাড়ির পূজা মণ্ডপেও ভাঙচুর চালানো হলো। কোনো মামলা, গ্রেপ্তার, বিচার- কিছুই হলো না। ১৯৯০ সালে এরশাদের আমলে সারাদেশে তিন দিন, ১৯৯২ সালে বিএনপির খালেদা জিয়ার আমলে ২৭ দিন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সারাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, খুন নির্যাতনসহ নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করা হলো। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর হাইকোর্টে মামলা করা হলো। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ অন্য মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তায় ১৫ হাজার ঘটনার একটি তালিকা তৈরি করা হলো। সাহাবুদ্দিন কমিশন গঠন করা হলো। সেই কমিশন ২০১১ সালে ৫ হাজার সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের একটি বিশদ তালিকা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কাছে দিল। আমরা দেখা করলাম, তিনি আশ্বাস দিলেন। কিন্তু কোনো কাজ করলেন না। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা মহিউদ্দিন খান আলমগীরের কাছেও বিচার চেয়ে দেখা করলাম। তিনিও আশ্বাস দিলেন, কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হলো না। তাই বলছিলাম ‘দায়মুক্তির সংস্কৃতি’ চলছে আমাদের দেশে।“
আওয়ামীলীগ এখনো জামাত-বিম্পির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে যাচ্ছে। এই অস্থিরতা, এই গোলযোগ যদি বিএনপি কিংবা শিবিরের কর্মও হয়, তাহলেও সরকার হিসাবে এখানেই আপনারা ব্যর্থ। আপনাদের হাজার কোটি টাকা দিয়ে পালা প্রশাসন ব্যার্থ, গোয়েন্দা সংস্থা ব্যার্থ, আপনাদের নিয়ত ব্যার্থ, আপনারা স্রেফ ব্যার্থ। ১২/১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে ধর্মান্ধতার বীজ আপনারা আরো গভীরে রোপন করা ছাড়া আর কি করতে পেরেছেন???
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু তার কতটুকু কী রাখে, তাতো আপনারা দেখতেই পারছেন।
গত নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে আওয়ামীলীগ সংখ্যালঘু কমিশন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। এর মধ্যে আরেকটি নির্বাচন সমাগত কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার এব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয় নাই। কিন্তু প্রতি নিয়ত হিন্দুদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চলছে – একটি ঘটনারও উল্লেখযোগ্য কোনো বিচার সরকার করে নাই।
তাই প্রশ্ন জাগে আওয়ামীলীগ কী পাকিস্থানের পথে হাঁটছে !!!!!!!!
পাকিস্তানে একদিকে বিপুল উদ্যমী উদার তারুণ্য। অন্য দিকে মৌলবাদ। মাঝখানে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। নওয়াজ বা ইমরানের কাঁধে বন্দুক রেখে সেগুলোকে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। এদেশেও সেই একই ফরমুলা আমদানী করার চেষ্টা চলছে নাকি??
তাহলে কি ভোটের রাজনীতির কাছে আদর্শের রাজনীতি বিক্রি হয়ে গেলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা শান্তিপ্রিয় বাঙ্গালির ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে তোষণের কারন কি? ওই সাম্প্রদায়িক শক্তি এই দেশের অর্থনীতিতে কি অবদান রাখছে?? যে আদর্শকে বাংলাদেশ ১৯৭১ এ রক্তাক্ত স্বাধীনতার মাধ্যমে অস্বীকার করেছে, সেই বিষবৃক্ষকে মহীরুহ হবার সুযোগ কেনো দিচ্ছেন??
সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, এদেশে সাম্প্রদায়িকতা একটা রাজনীতিক বানিজ্য। তাই হয়তো সরকার ও পুলিশের ইচ্ছে নেই সাম্প্রদায়িকতা থামানোর, যদি ইচ্ছে থাকতো তাহলে বিচার করতো। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে।
অন্যদিকে এদেশে কোন দুর্ঘটনা ঘটার পর (যেমন ধর্ষন, খুন, সাম্প্রদায়িক হামলা) এক শ্রেনীর ইতর বের হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদের কাজ হল অপরাধ কে নর্মালাইজ করে ফেলা।
কোথাও ধর্ষন হলে ওরা বলে মেয়ের পোশাক ঠিক ছিল না, মেয়ে ওই সময়ে ওখানে যাবে কেন? অর্থাৎ ভিক্টিম ব্লেইমিং শুরু হয়ে যাবে। পুরো ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে দেবে এরা। এভাবে সমাজ আরো ধর্ষক তৈরী করে।
এরপর সাম্প্রদায়িক হামলা হলে, এইটা সব দেশে হয়, ভারতেও হয়, আমাদের ওখানে হয়েছিল তখন কি হিন্দুরা প্রতিবাদ করেছিল?
সব দেশে হয় তাই এখানে হওয়াটা খুব সিম্পল বিষয়, চুপচাপ মেনে নাও। ভারতে নির্যাতন হয় তাই তোমাদের উপরও হবে মেনে নাও। ইত্যাদি ইত্যাদি। অকামের বেলায় ষোল আনা আর ধরা পড়লে সহজ সরল এক আনা !
পৃথিবী অপরাধীদের জন্য নস্ট হয়না, নস্ট হয় যাদের প্রতিবাদ করার শক্তি ছিল তাদের নীরবতার কারনে। আর অপরাধকে নর্মালাইজ করা ইতরদের কারনে।
এই দেশে শুধুমাত্র ধর্ম পরিচয়ের কারণে আমাদেরকে নিগৃহীত হতে হয়।
আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নিপীড়ন অব্যাহত গতিতে চলছে।
জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি দখল, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, নারী নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, মন্দিরের সম্পত্তি দখল, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল, অর্পিত সম্পত্তির কোনো সুরাহা না হওয়া- এসব কোনোকিছুই থেমে নেই।
ফলাফল, প্রতি আদমশুমারীতে হিন্দুরা কেবল কমছেই।
এটা এই রাষ্ট্রের ব্যার্থতা, এটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অপমান।
আমার নিরাপত্তার দায়িত্ত্ব এই রাষ্ট্রের। সারা বছর এই যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ঘুরে বেড়ায় তখন কোনো প্রতিবাদ হয় না। কে প্রতিবাদ করে? আমাকে যখন মালাউন গালি দেয় তখন কে প্রতিবাদ করে? আমাকে যখন ইন্ডিয়ার দালাল বলা হয়, তখন আমার দেশপ্রেম কে যখন প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় শুধুমাত্র আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে, এই দেশ আমার, আমার চৌদ্দ পুরুষ এই দেশে রয়েছে।
৪৭শে যাইনি, ৬৬তে যাইনি, ৭১-এ যাইনি, ২০০১-এ যাইনি - এই দিন দেখার জন্য??
আমি এই মাটির সন্তান। আমার পূর্বপুরুষ এখানেই জন্মেছে, এখানেই বংশ বিস্তার করেছে। আমার ভাষা, খাদ্য, পোশাক, সুর, বাদ্য, আচার, অনুষ্ঠান, রীতি, নীতি, ধর্ম, চর্চা, জীবন,,যাপন, সংস্কৃতি সবকিছুই এই মাটির উৎস থেকে উৎসরিত। যে পুরাকথায় দুর্গা বাপের বাড়ির আদরের মেয়ে হয়ে আসে সে পুরাকাহিনী এই মাটির গন্ধমাখা। এই মাটিতে আমার পদবীর ঠিকুজি পাওয়া যায় সর্বনিম্ন পনেরশ বছর আগে থেকে সর্বোচ্চ আড়াইহাজার বছর আগ অব্দি। আমি অন্য কোথাও থেকে কোনো কিছু ধার করে আনিনি। তাই আমার সংখ্যাধিক্যের দম্ভ নেই, কথায় কথায় ধার করে আনা জামায় দাগ লেগে যাবার ভয়ও আমার নেই। আমার আছে এই মাটির প্রাচীন উত্তরাধিকার এর গর্ব। আমাকে বিলোপ করা সহজ নয় এই মাটি থেকে। আমি সংখ্যায় হয়তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো কিন্তু আমার অস্তিত্ব বিনাশ করা যাবেনা। আমি, আমার দার্শনিক পরম্পরা এবং আমার সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্যভাবে অবিনাশীভাবে মিশে থাকবো এই দেশের মাটিতে, আকারে এবং নিরাকারে; চেতনে ও অবচেতনে।
শুধুমাত্র হিন্দু হবার অপরাধে পাকিস্থান আমলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে নিগৃহীত হতে হয়েছে সেই একই অবস্থা যদি স্বাধীন বাংলাদেশেও চলতে থাকে - এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই। এধরনের প্রত্যেকটি ঘটনায় আমরা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার হতে দেখেছি।
সেখানে শুধু সম্পদ লুট হয়নি, লুন্ঠিত হয়েছে স্বাধীনতার চেতনা, লুন্ঠিত হয়েছে মানবতা।
১। কক্সবাজারের রামু, ২। যশোরের মালোপাড়া, ৩। ঠাকুরগাঁও এর গড়েয়া, ৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, ৫। গাইবান্ধার সাঁওতালপল্লী, ৬। রংপুর এর ঠাকুরপাড়া, ৭। ভোলা'র বোরহানউদ্দিন, ৮। কুমিল্লার মুরাদনগর, ৯। সুনামগঞ্জের শাল্লা,
সর্বশেষ রক্তাক্ত দুর্গা পুজা ২০২১।
প্রত্যেকটি স্থানে আমরা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার হতে দেখেছি।
এই তালিকা আর কতো দীর্ঘ হলে এই তান্ডব থামবে??
যারা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক ভাবেন তাদের নিজেদেরই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে প্রতিটি পাড়া-মহল্লা-গ্রামে-শহরে। তাহলেই কেবল সাম্প্রদায়িকতা রুখা সম্ভব, আর দেরি করলে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে।
সাম্প্রদায়িকতা রুখতে আজ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো, সংঘবদ্ধ হবো। আমরা সবাই মিলে এই অপশক্তিকে রুখে দেবো। কারও ভরসায় বসে আমার দেশকে আফগানস্থান হতে দেবো না।
১৮/অক্টোবর/২০২১
