সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2022 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নোয়াখালী হিন্দু গণহত্যা ১০ অক্টোবর ১৯৪৬। জ্যোতির্ময়ী দাস, রমানাথ দাসের স্ত্রীর জবানবন্দী

নোয়াখালী হিন্দু গণহত্যা ১০ অক্টোবর ১৯৪৬ জ্যোতির্ময়ী দাস, রমানাথ দাসের স্ত্রীর জবানবন্দী তারিখ ৩১/১০/১৯৪৬ লক্ষ্মীপূজার দিন শুক্রবার বেলা ১০টার সময় প্রথমে বহুলােক টেটা, বল্লম, দুটো বন্দুক নিয়ে আসে, তখন আমরা মেয়েরা সকলেই ছাদের উপরে উঠি। তখন দুবৃত্তরা চারিদিকে আগুন লাগাইয়া দেয়। মণীন্দ্রবাবু, কানু রায় (প্যারী রায়ের ছেলে) দুজনে গিয়ে মাপ চাইতে যায় এবং মাপ চাইতে না চাইতেই মণিকে নিয়াই কাটিয়া ফেলে, কানুর বুকে বল্লম মারে। তারপর অনর্গল ইট-বর্ষণ হয় এবং বর্ণনাকারিণীর চোখের উপরেই ইট লাগে। তারপর ছাদের উপর হইতে পুরুষ ও মেয়েরা মাপ চাইতে থাকে। দুর্বত্তরা নীচু হইতে অস্ত্র শস্ত্র ছুড়িয়া মারিতে সকলেই ছাদের উপরে শুইয়া পড়ে। সকলেই অল্পবিস্তর আহত (হন) এবং উঠিয়া মার্জনা প্রার্থনা করে যে আমাদের মারবেন না, যা চান বলুন আমরা দিতেছি। তাহাতে জনতা বলে তােমরা আগে নামিয়া এসাে। তখন মেয়েরা বলেন যে চারিদিকে আগুন জ্বলিতেছে আমরা কেমনে নামিব। তখন নীচু হইতে নারিকেল গাছ কাটিয়া উপরে উঠিয়া বলে মু$লমান হবি কিনা? আমরা অনেকেই স্বীকার করি, এবং দাবি (করি) যেন আমাদের উপরে কোন অত্যাচার করা না হয়। তখন তাহারা বলে যে...

নোয়াখালী ম্যাসাকার ও তখনকার মিডিয়ার ভূমিকা - সুষুপ্ত পাঠক

নোয়াখালী ম্যাসাকার ও তখনকার মিডিয়ার ভূমিকা -সুষুপ্ত পাঠক ১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমা লক্ষ্মিপুজার রাতে নোয়াখালীতে ভয়ংকর হিন্দু ম্যাসাকারের কোন নিউজও পূর্ব পাকিস্তানের কোন খবরের কাগজ প্রকাশ করেনি। সর্ব প্রথম নিউজ প্রকাশ করে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত দৈনিক স্বাধীনতা পত্রিকা। পূর্ববঙ্গের প্রাদেশিক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সরকার পুরো ঘটনাকে তুচ্ছ, স্থানীয় বিবাদ হিসেবে আখ্যা দেন যখন কোলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিকগুলিতে নোয়াখালীর নিউজ আসতে থাকে। তখন ঢাকা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক মর্নিং নিউজ লেখেন, তুচ্ছ ঘটনাকে ‘হিন্দুদের প্রকাশিত পত্রিকায়’ বড় করে দেখানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত খবরের কাগজের এ সময়ের কিছু শিরোনাম দেখে নেয়া যাক- ‘দৈনিক যুগান্তর’   ‘নোয়াখালীতে পাঁচ সহস্রাধিক নিহত ও অর্ধলক্ষাধিক বিপন্ন’ একই নিউজে  একাধিক উপশিরোনাম ছিলো: ‘চাঁদপুর শহরের দিকে উন্মত্ত আক্রমণকারী দল’ ‘মহকুমার সর্বত্র ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও গুণ্ডামী’ ‘কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দের বিমানযোগে উপদ্রুত অঞ্চল পরিদর্শনের ব্যবস্থা’। আরেকটি নিউজ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় গুরুত্ব দিয়ে, ‘নোয়াখাল...

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা-১৯৪৬: নোয়াখালীতে লাখো হিন্দুর রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস - রাজেশ পাল

আজ লক্ষ্মীপূজো। বাঙালি হিন্দুরা আজ ঘরে ঘরে ব্যস্ত লক্ষ্মীর ঝাঁপি সাজানো আর আলপনা দিয়ে মেঝে রাঙানোর কর্মব্যস্ততায়। সবার মনে একই প্রত্যাশা , সুখে শান্তিতে ধনে সম্পদে যেন ভরে উঠে নিজেদের ছোট্ট গৃহকোণ। ১৯৪৬ সালেও তাই করেছিলো নোয়াখালীর হিন্দুরা। ১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ।দিনটি ছিল কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন। নোয়াখালীর হিন্দুরা বাড়িতে পূজার আয়োজনে ব্যস্ত।অন্যদিকে মুসলিম লীগ নেতারা তখন ব্যস্ত মিথ্যা সংবাদ আর গুজব রটাতে। তারা চারিদিকে গুজব ছড়িয়ে দেয় যে,শিখ সম্প্রদায় দিয়ারা শরীফ আক্রমণ করেছে। বাতাসের আগে ছড়িয়ে পড়া গুজবের ফলে আশে পাশের এলাকার মুসলিম লীগের গুণ্ডারা দলে দলে দিয়ারা শরিফে জড়ো হতে শুরু করে। গোলাম সরোয়ার হুসেনি সমবেতদেরকে সাহাপুর বাজার আক্রমণ করতে নির্দেশ দেয়।কাশেম নামের আরেকজন মুসলিম লীগ নেতাও তার নিজস্ব বাহিনী নিয়ে সাহাপুর বাজারে পোঁছায় যাদেরকে "কাশেমের ফৌজ" বলা হত। কাশেমের ফৌজ নারায়ণপুর থেকে সুরেন্দ্রনাথ বসুর ‘জামিনদার অফিসের’ দিকে এগিয়ে যায়। কল্যাণনগর থেকে আসা আরেকদল দাঙ্গাবাজ দল কাশেমের ফৌজের সাথে যোগ দেয়।এদের সাথে আরও অনেক ভাড়া করে আনা মুসলি...

বাচ্চাদের মনে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে ঘৃণার চাষাবাদ করছে কারা?

রাজীব রানা দাস এর টাইম লাইন থেকেঃ  ১. পুরো সেকশনে আমার ছেলে একমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী। ওদের স্কুলে রেগুলার পিরিয়ডে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা ক্লাস হয়। সে সময় ওকে ক্লাসরুমেই বসে থাকতে হয়। বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সবগুলি পিরিয়ড শেষ হলে একদম স্কুল ছুটির আগে বাদবাকি সব সেকশনের সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের নিয়ে সম্পুর্ণ আলাদা কক্ষে হিন্দু ধর্ম শিক্ষা ক্লাস নেয়া হয়। সেসময় ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোন ছাত্র আর ক্লাসে থাকেনা। যেহেতু সব ক্লাস শেষ তাই তারা যার যার মত বাড়িতে চলে যেতে পারে। ২. কৌশিক আজ বললো "সা**" নামের একটা ছেলে ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ ক্যান্সেল করেছে। জিজ্ঞেস করলাম, কেন ক্যান্সেল করলো? কৌশিক বললো, "আমি হিন্দু, তাই"। সম্প্রতি আরো একটি বাচ্চা কৌশিককে প্রতিদিনই বলে মুসলিম হয়ে যা। লা ইলাহা....বল। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ঢুকে না এত ছোট ছোট (ক্লাস থ্রি)  বাচ্চাদের মাথায় এসব কে ঢুকায়!!  ৩. আচ্ছা, জাতীয় শিক্ষাক্রমে ধর্ম শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা কি খুব জরুরী? সরাসরি ধর্ম শিক্ষার বদলে " মানবিকতা/সিভিক সেন্স/সহমর্মিতা" এসব আরো বেশি করে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না? ইসলাম/হিন্দু/খ্রিস্টান ধর্...

১৯ আগষ্ট ২০২২ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র বক্তব্য

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৯ আগষ্ট জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অনেক আশা নিয়ে ছিলাম তিনি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং সংখ্যালঘু কমিশন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন। এটি ছিলো আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ওয়াদা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা দেখলাম তিনি এব্যাপারে কোনো ঘোষণা দিলেন না। বক্তব্যের শুরুতে তিনি ১৫ আগষ্টের কালো রাতে যারা মৃত্যুবরণ করেন তাদের কথা স্মরণ করেন। ১৫ই আগষ্ট কালো রাতে খুনীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে খুন করে নাই, পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে খুন করেছিলো পাকি প্রেত্মারা। শুধু তাই নয় যেসব ব্যক্তি এবং পরিবার এই নৃশংস ঘটনার বিপরীতে গর্জে উঠতে পারে তাদেরকেও স্বপরিবারে খুন করেছিল। এরপর আমরা দেখেছি ৪ নেতাকে খুন করেছিলো শয়তানরা। আমি বিশেষভাবে কর্ণেল জামিলকে স্মরণ করতে চাই- যিনি একমাত্র ব্যক্তি কারো অপেক্ষায় না থেকে একাকী ছুটে গিয়েছিলেন ধানমন্ডিতে। এবং তিনিও সেই নৃশংস ভাগ্য বরণ করেছিলেন। এই ঘটনাগুলো আমরা জানি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত বছর পরেও সে ঘটনা স্মরণ করে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এহেন ঘটনায় তিনি যদি ব্যথিত হন, তিনিই তো সর্বোচ্চ বোঝার কথা হিন্দুদের বাড়ি...

৪ সেপ্টেম্বর ANI দেয়া শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারে তিনি হিন্দুদের প্রতি কি মেসেজ দিলেন?

গতকাল ৪সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সংস্থা ANI কে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কি বলেছেন শেখ হাসিনা?  সাক্ষাৎকারের প্রথমদিকে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট কেন্দ্রিক হৃদয় বিদারক ঘটনা নিয়ে নানা কথা বলেছেন। একপর্যায়ে সংখ্যালঘু তথা হিন্দুদের উপর নির্যাতন বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, " যতদিন আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা সব সময় এটাকে গুরুত্ব দেই এবং আমি সবসময় তাদের (সংখ্যালঘুদের) বলি যে, আপনারা আমাদের নাগরিক। দেশের প্রতি আপনাদেরও দায়বদ্ধতা আছে। তবে মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা ঘটলেও সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেই। এটা কখনও কখনও হয়, এটি ঘটেছে, এটি খুব অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি কিন্তু আপনি জানেন যে এটি কেবল বাংলাদেশ নয়, এমনকি ভারতেও কখনও কখনও সংখ্যালঘুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। "!!! আমরা তথা বাংলাদেশের হিন্দুদের আদি পিতৃভুমি বাংলাদেশ। আমাদের কোনো পূর্বপুরুষ ভারত কিংবা বৈদেশ হতে বাংলাদেশে আসে নাই। অতএব এই দেশ আমাদের না ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু মহামহিম প্রধানমন্ত্রী- দিনের অতিথি, রাত হলে যখন ডাকাতের রূপ ধারণ করে, তখন গৃহস্থ কি করবে?? এরপর তিনি এদেশের হিন্দুদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় দিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী...

‘মেরুদণ্ডহীন’ হিন্দু সম্প্রদায় ও ‘সাম্প্রদায়িক’ বাংলাদেশ - চিররঞ্জন সরকার

তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ফোনে যখন আলাপ হচ্ছিল, তখন ঝাঁজালো কণ্ঠে বললেন, “কী-যে সব প্যানপ্যানানি লেখা লেখেন। এসব বাদ দ্যান। পারলে শক্ত করে লেখেন। না হলে লেখালেখি বাদ দেন। আর লিখেই-বা কী লাভ? রাস্তায় নামতে পারেন না? অস্তিত্ব হুমকির মুখে, আর আপনারা চুপচাপ বসে আছেন। আপনাদের পরিণতিও একসময় রোহিঙ্গাদের মতো হবে।” উনি এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলেন। আমি শুনলাম। এই কথাগুলো যে আমি বুঝি না বা দেশের হিন্দুরা বোঝে না, তা তো নয়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কী-ই-বা বলার বা করার আছে? এদেশে হিন্দুদের যা পরিস্থিতি– যেভাবে অপমান-নির্যাতন-হামলা চালানো হচ্ছে– রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে আচরণ করছে– তাতে হিন্দুদের মার খাওয়া ছাড়া, মেনে নেওয়া ছাড়া, বিলাপ ও চোখের জল ফেলা ছাড়া, দগ্ধ হওয়া ছাড়া, ‘গোপনে দেশত্যাগ’ ছাড়া আর কী-ই-বা করার আছে? হ্যাঁ, হিন্দুরা যা করতে পারে, যা করতে পারত, যা করা উচিত ছিল তা হল, ‘প্রতিরোধ’ গড়ে তোলা। কিন্তু এদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা, আমাদের পূর্বপ্রজন্মের নেতারা (হিন্দু-নেতারা, ‘হিন্দু-নেতা’ শব্দটি ব্যবহার করতে বিবেকে বাধছে, কিন্তু উপায় কী) সঠিক সময়ে সঠ...

তাজমহল নাকি তেজ মহালয়া?

লিখেছেন Prithwi Sen বাস দাঁড়িয়ে গেল প্রায় 6 কিমি আগে  সেখান থেকে auto আর cng বাস নিয়ে গেল তাজমহলের গেট অব্দি। এবারে লম্বা লাইন আমরাও দাঁড়িয়ে গেলাম।  যেমন রোদ আছে তেমনি গরম, দুয়ে মিলে পুড়ে যাবার জোগাড়।  শেষে এল আমাদের security চেক।  কিছু খাবার ছিল ব্যাগে এই বিস্কুট চানাচুর। শুরু হল সমস্যা, এগুলো নিয়ে ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। এখন আবার আরেকটা লাইনে দাঁড়িয়ে লকারে রেখে আসতে হবে এগুলো।  কি করা যায় এখন, দেখলাম কয়েকটা হনুমান রয়েছে দূরে... ধুত্তোর নিকুচি করেছে, বলে প্যাকেট গুলো সামনে রেখে দিলাম ওদের। এসে নিয়ে গেল ওরা। সব সমস্যার শেষ। ওয়াহ তাজ: ◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆ যাইহোক মূল গেট পেরুলাম  এবারে মূল চত্ত্বরে প্রবেশ ঘটল। মাঝে রাস্তা দুদিকে সবুজ লন। একটু এগোতেই বামদিকে প্রকাশ পেতে লাগল তাজমহল একটু একটু করে। প্রথমে পাশের মিনার গুলো আর তারপরে এল মূল কক্ষ, আর তারপরে পুরোটা। একটা বাঁক নিলাম বামদিকে। বাহ অদ্ভুত অপূর্ব...  বিস্ময়ে হতবাক করে দেয় এই সৌন্দর্য্য। অপূর্ব একখন্ড বিস্ময় যেন পৃথিবীতে নেমে এসেছে। এক টুকরো স্বর্গীয় পরিবেশ, মাঝখানে #যমুনা লম্বা হয়ে চলে গেছে তাজমহল অব্দি। এক...

গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড নাকি উত্তরাপথ ?

গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড নাকি উত্তরাপথ লিখেছেন Prithwi Sen আজকের গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড। প্রায় 2400 km বিস্তৃত এই রাস্তা। ব্যাক্টরীয়া সীমানা থেকে ব্রহ্মদেশ সীমানা অব্দি। বানিয়েছেন শের শাহ সুরি।  অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাসে আমিও পড়েছি এটাই। তারপরেও পড়েছি। তবে ইতিহাসের নড়চড় হয়নি।  শের শাহ তো শের শাহ। ইনিই বানিয়েছেন gt road ইতিহাসের ক্লাসে: ◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆ আজ এসেছি একটি ক্লাসে। ইতিহাস নিয়ে উৎসাহী  কিছু নব্য যুবকদের মধ্যে gt road নিয়ে বলতে... ক্লাসে ঢুকে সময় নষ্ট করলাম না।  সোজাসুজি চলে এলাম প্রসঙ্গে। স্বভাবসিদ্ধ গম্ভীরভঙ্গীতে বলতে শুরু করলাম- আসুন, আজ আপনাদের শোনাই GT Road এর ইতিহাস- প্রসঙ্গ GT Road: ●●●●●●●●●● হ্যাঁ, মাত্র পাঁচ বছরের শাসনকালে এই রাস্তা তার বানানো।  হুমায়ুনকে তাড়িয়ে দেন সমর্খণ্ডে। তার পৈতৃক দেশে।  হুমায়ুন সেখানে চুপচাপ বসে রইলেন পাঁচটি বছর।  সুরি দখল করলেন দিল্লীর মসনদ। অন্য কোন রাজা ছিল না তখন ভারতের বুকে।  (অন্তত আমার পড়া ইতিহাস বইটি এরমই বলছে।)  যদি থেকেও থাকতো রাজারা। আগেই বাবর হুমায়ুন তাদের মেরে শান্তির ধর্মে পরিবর্তিত করে দিয়েছেন। ...

রাজকুমারী কার্বিকা এবং আলেক্সান্ডার এর যুদ্ধ

লিখেছেন Prithwi Sen স্থান:কঠ গনরাজ্য বর্তমান পাঞ্জাবের প্রান্তে। সিন্ধুর তীরে। সময়: 325 খৃস্টপূর্ব বর্তমান পাঞ্জাবের শেষ প্রান্তে তখন ছিল এক প্রদেশ, কঠ গনরাজ্য। সেই রাজ্যের রানী হচ্ছেন কার্বিকা।  রানী ঠিক নন অবশ্য, তিনি আসলে রাজকুমারী।  ছোটবেলায় তার বাবা-মা মারা যান। তিনি হন ভাবি রানী। তাকে সিংহাসনে বসিয়ে রাজত্ব চালিয়ে যেতেন মন্ত্রী। তবে ছোট থেকেই তিনি শিখেছেন বিভিন্ন রাজকাজের খুঁটিনাটি। সস্ত্র ও শাস্ত্র; দুই শিক্ষা চলেছে তার সমানতালে। পাশাপাশি তিনি শিখেছেন অস্ত্রশিক্ষা। তার পিতার সেনাপ্রধান এবং অন্যান্য সেনাদের কাছে। শিখেছেন সমর শিক্ষা।  কূলগুরুর কাছে শিখেছেন সমস্ত পাঠ। বেদ শিক্ষা। শাস্ত্র শিক্ষা। মহিলা শিক্ষা: ◆◆◆◆◆◆◆◆ তখন সাধারণ ঘরের মেয়েরা খুব একটা বাইরের কাজে যেতেন না। মোটামুটি ঘরের কাজেই সময় কাটাতেন। কিন্তু রাজকুমারী কার্বিকা একটু বড় হতেই বুঝলেন মহিলাদের সমর শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা।  তিনি বিশেষ আইনের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত মেয়েদের বাধ্যতামূলক করলেন অস্ত্র শিক্ষা।  সেই উদ্দেশ্যে নিয়োগ হল বিভিন্ন অস্ত্র শিক্ষাবিদ। রাজ্যের মহিলারাও খুবই সানন্দে অংশ নিলেন...

রাজা পুরু এবং রাজা আলেক্সান্ডার যুদ্ধ

"রাজার সাথে, রাজার মতো" লিখেছেনঃ Prithwi Sen ইরান বিজয়: ●●●●●●●●●●●●● বিজয়ৎসব চলছে। সেনা ছাউনি জুড়ে আজ সবাই উৎসবের মেজাজে। জায়গায় জায়গায় ঝলসানো হচ্ছে মাংস। অঢেল মদ। রয়েছে ফুর্তির সব ব্যবস্থা।  সেনারা কেউ নেই আজ সতর্ক। সবাই আজ ঢিলেঢালা।  সেনাবাহিনী উৎসবে মত্ত থাকলে কি হবে ছুটি নেই সেনাপতিদের।  সবাই এখন বসে রয়েছে আলেক্সান্ডার এর সাথে।  চলছে চুলচেরা হিসেব। কোথায় কোথায় হয়েছে ভুল। সেই ভুল সংশোধন করার জন্য নেওয়া হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা।  পাশাপাশি চলছে হিসেব কত সম্পদ পাওয়া গেল। মোটকথা সম্পদ যা পাওয়া গেল তাতে এই যুদ্ধে লাভ ঠিক কতটা হল।  তবে লাভ হয়েছে দারুন বিশাল নৌবাহিনী আজ আলেকজান্ডার এর হাতে। পাওয়া গেছে অনেক সমর্থ ক্রীতদাস। অর্থ পাওয়া গেছে মোটামুটি। সেদিক দিয়ে দেখলে মোটামুটি লাভ ক্ষতির পরিমান প্রায় সমান সমান হল এই যুদ্ধে... লক্ষ্য: ◆◆◆◆◆◆◆ মুখের ভাবে গাম্ভীর্য রাখলেও আলেকজান্ডার বেশ খুশী।  আর্থিক লাভ তার যে খুব একটা প্রয়োজন তা নয় তার লক্ষ্য যে আলাদা। তিনি হতে চান বিজয়ী। যে সে বিজয়ী নন...  সমগ্র পৃথিবীর বিজয় তিনি হাতে চান। হতে চান পৃথিবীর একচ্ছত্র সম্রাট। এ...